বাংলাদেশের আইন



বাংলাদেশ একটি সাধারণ আইনের দেশ। এটির আইনগত পদ্ধতি বিকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ ভারতের উপর তাদের ঔপনিবেশিক শাসনের সময় ব্রিটিশ নিয়মে। ব্রিটিশ ও মোগল আমলে বাংলাদেশ বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল এবং এর আগে আগে বাংলাদেশের আরও কিছু নাম ছিল। যদিও আমাদের প্রায় পূর্ব ঐতিহাসিক যুগ থেকেই বাংলাদেশে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উপকরণ ও প্রতিষ্ঠান ছিল। মুঘলরা প্রথমে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে এগুলি শনাক্ত ও প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল। কিং জর্জ ১ প্রদত্ত ১৭২৬-এর সনদে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে মাদ্রাজ, বোম্বাই এবং কলকাতায় মেয়রের আদালত প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া হয় এবং ব্রিটিশ ভারতের জন্য সেটাকে প্রথম সংহিতাবদ্ধ আইন হিসাবে স্বীকৃত হয়। তখনকার ব্রিটিশ ভারতের অংশ হিসাবে তৎকালীন বাংলার জন্যেও এটি প্রথম সংহিতাবদ্ধ আইন ছিল। একাত্তরের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সংসদ কর্তৃক প্রণীত সংবিধিবদ্ধ আইন আইন গঠনের প্রাথমিক রূপ।


মৌলিক অধিকার আইন


  1. মৌলিক অধিকারের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আইন বাতিল করা হবে (ধারা-২৬)
  2. আইনের সামনে সমতা (ধারা-২৭)
  3. ধর্ম, ইত্যাদির ভিত্তিতে বৈষম্য (ধারা-২৮)
  4. সরকারি চাকরিতে সুযোগের সমতা (ধারা-২৯)
  5. বিদেশী উপাধি, ইত্যাদি নিষিদ্ধকরণ (ধারা-৩০)
  6. আইন রক্ষার অধিকার (ধারা-৩১)
  7. জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার সুরক্ষা (ধারা-৩২)
  8. গ্রেফতার ও আটকের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা (ধারা-৩৩)
  9. জোরপূর্বক শ্রম নিষিদ্ধকরণ (ধারা-৩৪)
  10. বিচার ও শাস্তির ক্ষেত্রে সুরক্ষা (ধারা-৩৫)
  11. চলাফেরার স্বাধীনতা (ধারা-৩৬)
  12. সমাবেশের স্বাধীনতা (ধারা-৩৭)
  13. সংগঠনের স্বাধীনতা (ধারা-৩৮)
  14. চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ-৩৯)
  15. পেশা বা পেশার স্বাধীনতা (ধারা-৪০)
  16. ধর্মের স্বাধীনতা (ধারা-৪১)
  17. সম্পত্তির অধিকার (ধারা-৪২)
  18. বাড়ি এবং চিঠিপত্রের সুরক্ষা (ধারা-৪৩)
  19. মৌলিক অধিকারের প্রয়োগ (ধারা-৪৪)
  20. শৃঙ্খলা আইনের ক্ষেত্রে অধিকারের পরিবর্তন (ধারা-৪৫)
  21. ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষমতা (ধারা-৪৬)
  22. কিছু আইনের জন্য সংরক্ষণ (ধারা-৪৭)
  23. নির্দিষ্ট নিবন্ধের অপ্রযোজ্যতা (ধারা-৪৭.ক)

You may like these posts

1 Comments

  1. Shanti Tv
    hi